রবিবার, ১২ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১১:২৪

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

পিরোজপুরে বসে শ্রম কেনা-বেচার হাট!

dynamic-sidebar

শীতের হালকা কুয়াশা আর হিম শীতল হাওয়ার মাঝে বাজার করার ব্যাগ ও কাস্তে নিয়ে সবাই লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। কারও বয়স ১৫, কারও ৩৫ কারো বা ৫০ এর অধিক। হবে কেনা-বেচা, তাই এই দীর্ঘ লাইন। এভাবেই চলছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মানুষ তথা শ্রম কেনা-বেচা।

প্রাচীনকাল ও মধ্যযুগের দাস প্রথা বিলুপ্ত হলেও একাবিংশ শতাব্দীর তথ্য-প্রযুক্তির যুগেও দুই বেলা খাবারের জন্য কেনা-বেচা হয় মানুষ। বসে মানুষ কেনা-বেচার হাট।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর সভার সম্মুখ সড়কে (চৌ রাস্তা) প্রতিদিন কাক ডাকা ভোরে শুরু হয় মানুষ ক্রয়-বিক্রয়। ধান কাটা, আঁটি টানা, মাটি কাটা, গাছ কাটা, রাজ মিস্ত্রীর যোন, দিনমজুরসহ নানা পেশার শ্রমজীবী মানুষে সরগরম হয়ে ওঠে এই বাজার।

এ বাজারে শ্রমিক কিনতে আসেন মালিকরা। অনেক মানুষ শ্রমের বিনিময়ে বিক্রি হলেও অনেকেই থেকে যান অবিক্রিত।

উপজেরার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের কামাল মিয়া (৩৫) জানান, পরিবারের অবস্থা ভাল না থাকায় লেখা-পড়া করতে পারিনি। স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার চালানোর জন্য নিজেকে প্রতিদিন বিক্রি করতে আসি মানুষের হাটে। দামও ভাল পাই। কোনো দিন ৫ শ আবার কোনো দিন ৬ শ টাকা। আবার ভাগ্যের পরিহাসে কোনো কোনো দিন থেকে যাই অবিক্রিত।

নিজেকে বিক্রি করতে আসা উপজেলার শাপলেজার শাহ আলম (৪৮) ও উত্তর হলতা গ্রামের আবু হানিফ (২৭) জানান, খুব ভোরে জোর পায়ে (দ্রুত) হেটে চলে আসি এ হাটে। মালিকদের সাথে দর কষা-কষি করে চলে যাই মালিকের পিছু পিছু। সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঘাম ঝরিয়ে পাই ৫/৬ শ টাকা। তা দিয়ে বাজার করে বাড়ি ফিরি। এভাবেই চলে সংসার।

তারা জানান, এখন ধান কাটার মৌসুম। তাই কাজ বেশি দামও ভালো। তবে বর্ষা মৌসুমে কাজ কমে যায়, তখন কষ্টের দিন যেন শেষ হতে চায় না।

বাজারে মানুষ কিনতে আসা দক্ষিণ মিঠাখালীর দুলাল হাওলাদার ও ঘটিচোরা গ্রামের মাজেদা বেগম জানান, মাঠে ধান পেকে আছে, তাই শ্রমিক নিতে এসেছি। আগে ৩৫০ থেকে ৪ শ টাকায় শ্রমিক পাওয়া যেত। এখন ৬ শ টাকা আবার দুপুরে তাদের খাবার ছাড়া কেউ যেতেই চায় না। শ্রমিকদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়েই কিনতে হচ্ছে শ্রম।’

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net